ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২ মে ২০২৪

জালালাবাদে নদী ভাঙ্গন পয়েন্টে ড্রেজার মেশিনে বালু উত্তোলন, নীরব প্রশাসন 

বিশেষ প্রতিবেদক :: ঈদগাঁও উপজেলার জালালাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব ফরাজী পাড়ায় নদীর ভাঙ্গন কবলিত পয়েন্ট থেকে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতদিন বালি উত্তোলন করা হচ্ছে । এতে পুনরায় নদী ভাঙ্গনের ঝুঁকিতে পড়েছে নদীর দুই পাড়ের অন্ততঃ দশটি গ্রাম ও জনগণ।

গতকাল সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, পূর্ব ফরাজী পাড়া মনজুর মৌলভীর দোকান সংলগ্ন ভাঙ্গা ব্রীজের আনুমানিক ৫০ গজ উজানে ঈদগাঁও নদীতে শক্তিশালী ড্রেজার মেশিন বসিয়ে বালি তুলছে বালুখেকো আয়াতুল আলম ছুট্টুর নেতৃত্বাধীন একটি সিন্ডিকেট। ঈদগাঁও-পোকখালী সড়কে ব্যারিকেড দিয়ে বসানো হয়েছে বালুর মোটা পাইপ। উক্ত বালি পাইপ লাইন দিয়ে বহন করে স্হানীয় লম্বা কালুর পুকুর ভরাট করা হচ্ছে।

এলাকাবাসী জানান উক্ত স্হানে ২০১২ সালের জুন মাসে, ২০১৮ সালে ও সর্বশেষ ২০২০ সালের ২০ জুন নদী ভাঙ্গনের ফলে লোকালয় প্লাবিত হয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপরেও বেপরোয়া বালি তোলার ফলে ২০২১ সালের ৩০ জুন তারিখে মনজুর মৌলভীর দোকান পয়েন্টে নির্মিত জালালাবাদ-পোকখালী সংযোগ সেতুর দুটি স্প্যান ভেঙ্গে নদীতে তলিয়ে যায়।
তখন থেকেই সেতুটি ভাঙ্গা অবস্থায় রয়েছে ।

এখন ফের সেই পয়েন্টে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে রাতদিন বালু তোলা হচ্ছে।
এর ফলে আগামী বর্ষায় আবারো ভাঙ্গন ঝুঁকিতে পড়েছে উক্ত এলাকা।
স্হানীয়রা জানান, কয়েকদিন আগে বালু তুলতে বাঁধা দেন এলাকাবাসী। কিন্তু কোনকিছুর তোয়াক্কা না করে তারা বালু উত্তোলন অব্যাহত রেখেছে।

ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মোঃ জাকারিয়া ফোন রিসিভ না করায় এ ব্যাপারে বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানায়, ঈদগাঁও উপজেলাব্যাপী অবৈধ বালু তোলা, জমির টপসয়েল লুট, বন ও পাহাড় কাটাসহ পরিবেশ বিধ্বংসী কর্মকান্ড অব্যাহত থাকলেও এর বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্হা নেননা ইউএনও মোঃ জাকারিয়া। এমনকি সংবাদ তৈরীর জন্য বক্তব্য নিতে ফোন করলে সংবাদকর্মীদের ফোনও রিসিভ করেন না তিনি।

পাঠকের মতামত: